দেড় মাসে ১১৩ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, পড়ছে ইতিবাচক প্রভাব

অর্থনীতি | 15th September, 2025 11:09 am
দাম ধরে রাখতে বাজার থেকে ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দেড় মাসে কেনা হয়েছে প্রায় ১১৩ কোটি ডলার। রফতানি এবং রেমিট্যান্সের স্বাথেই এমন উদ্যোগ বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। মুখপাত্র জানিয়েছন, দামের ওপর কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। অতিরিক্ত যোগান কমিয়ে আনার মাধ্যমে বাজার স্বাভাবিক রাখা হচ্ছে। এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যাংকারাও। ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম কমে গেলে বিকল্প পথে রেমিট্যান্স চলে যেতে পারে বলে, আশঙ্কা তাদের।
অস্থিরতা কাটিয়ে এক বছরের বেশি সময় ধরে স্থিতিশীল রয়েছে ডলার বাজার। লেনদেনে হচ্ছে ১২১ থেকে ১২২ টাকার মধ্যে। আইএমএফ’র চাপে গেল মাসে বাজার ভিক্তিক করা হয় দাম। আশঙ্কা থাকলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি দামে। উল্টো যোগান বৃদ্ধিতে কিছুটা কমতে থাকে দাম। জুলাইয়ে মাঝামাঝিতে তা নেমে আসে ১২০ টাকারও নিচে।
মূলত রফতানি এবং রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধিতে বাজারে সরবরাহ বাড়ে ডলারের। এর সাথে যোগ হয় বৈদেশিক ঋণ। বাড়ে রিজার্ভের পরিমাণও। যার প্রভাব পড়ে বিনিময় মূল্যে। দাম স্বাভাবিক রাখতে বাজার থেকে ডলার কিনতে শুরু করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ১৩ জুলাই কেনা হয় ১৭ কোটি ডলার। ১৩.২ কোটি ডলার কেনা হয়েছে ৪ সেপ্টেম্বর। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত কেনা হয়েছে প্রায় ১১৩ কোটি ডলার।
রফতানি এবং রেমিট্যান্স মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে দেশে আসে সাড়ে ১৩ বিলিয়ন ডলারের ওপের। এ সময়ে আমদানি এবং ঋণ পরিশোধে ব্যয় হয়েছে সাড়ে ১০ বিলিয়ন কিছু বেশি। ফলে বড় একটি অংশ উদ্বৃত্ত থেকে যায়। বাড়তি ডলার টেন্ডারের মাধ্যমে কিনে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান বলেন, এটা কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ না। সাধারণ বাণিজ্যিক ব্যাংকে ডলারের পরিমাণ বেড়ে গেলে তারাও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অতিরিক্ত ডলার বিক্রি করতে চায়। যেন ডলারের দাম স্থিতিশীল থাকে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ব্যাংকাররাও। বলছেন, এর ফলে ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রির সুযোগ পাচ্ছে। না হলে রেমিট্যান্স সংগ্রহে অনাগ্রহ দেখা দিতে পারে বলেও মনে করেন তারা।
গেল অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৩০ বিলিয়ন ডলারের ওপরে। যা আগে বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশের বেশি।